দৃশ্যমান রাজনৈতিক তৎপরতা ও কর্মসূচি না থাকার কারণ দেখিয়ে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় ঐক্যজোট ছেড়েছে ধর্মভিত্তিক দল খেলাফত মজলিস। ১ অক্টোবর (শুক্রবার) রাজধানীর পল্টন কালভার্ট রোডের সিগাল রেস্টুরেন্টে দলের আমির মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক জোট ছাড়ার ঘোষণা দেন। দলের আমীরের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গির হোসাইন।
মাওলানা ইসহাক বলেন, ‘রাজনৈতিক জোট ইস্যুকেন্দ্রিক গঠিত হয়। জোট কোনো স্থায়ী বিষয় নয়। খেলাফত মজলিস বিএনপির সঙ্গে ২২ বছর জোটে রয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে ২০ দলীয় জোটের দৃশ্যমান রাজনৈতিক তৎপরতা ও কর্মসূচি নেই। ২০১৮ সালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের মধ্য দিয়ে ২০ দলীয় জোটকে কার্যত রাজনৈতিকভাবে অকার্যকরও করা হয়। এ অবস্থায় আদর্শিক, সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায়, ২০১৯ সালের মজলিসে শুরায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ সিদ্ধান্ত হয়, খেলাফত আদর্শিক রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে স্বকীয়-স্বাতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে জাতির প্রয়োজনে সর্বদা সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে এবং এখন থেকে ২০ দলী জোটসহ সকল রাজনৈতিক জোটের সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করছে।’
আরো উল্লেখ্য, সংগঠনের মহাসচিব বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ড. আহমদ আবদুল কাদেরের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা। একই সাথে গ্রেফতারকৃত উলামায়ে কেরাম ও রাজনৈতিক নেতৃবৃদ্ধের আশু মুক্তি দাবি করে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির অধ্যাপক মাওলানা জোবায়ের আহমদ চৌধুরী, নায়েবে আমির সাখাওয়াত হোসেন, কাজী মিনহাজুল আলম, মাওলানা আহমদ আলী কাশেমী, আব্দুল বাছেদ আজাদ, যুগ্ম মহাসচিব মুনতাসির আলীসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতারা।